কিভাবে এক মাসে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হবেন

0

 আজকে পোস্টে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কথা বলবো | ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আপনাদের মনে থাকা প্রশ্নগুলো সহ আলোচনা করবো এবং তার সাথে স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন দিবো কিভাবে আপনি এক মাসে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হবেন



ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা প্রাথমিকভাবে ওয়েবসাইট এবং ব্লগ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি 2003 সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এবং তখন থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় CMS প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানানো এবং মেইনটেনেন্স করা, custom ওয়েবসাইটের থেকে সহজ হওয়ার কারণে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি ওয়েবসাইট এর উপরে অনেক ডিপেন্ড হচ্ছে |

এছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসে User-Friendly Interface, Themes, Plugins, SEO-Friendly, Customization, Regular Updates সহ আরো অনেকগুলো ব্যাপার রয়েছে এজন্য আমি ওয়ার্ডপ্রেস সাপোর্ট করি যেটা মূলত Non-coder বা যারা মূলত কোডিং একটু কম পারে বা ফ্রিল্যান্সার তাদের জন্য আমি সাজেস্ট করি |

ওয়ার্ডপ্রেসের দুইটা মেইন ভার্সন রয়েছে প্রথমটা হচ্ছে

ওয়ার্ডপ্রেস ডটকম এটা মূলত একটা স্টেট ফরোয়ার্ড ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব ওয়েবসাইট হোস্টিং সিস্টেম এখানে জাস্ট আপনি ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন এবং ওয়ার্ডপ্রেস নিজেই সেটা হোস্টিং ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করে | তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অনেকগুলো লিমিটেশন ফেস করতে হবে |

ওয়ার্ডপ্রেস ডটওআরজি হচ্ছে সেলফ হোস্টিং অপশন | এখানে আপনি ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন এবং নিজস্বভাবে নিজস্বভাবে হোস্টিং মেইনটেন্যান্স করবেন এক্ষেত্রে আপনার পরিপূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে এবং কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন | আমি সবসময় এইটাই রেকমেন্ডেশন করি |


ওয়ার্ডপ্রেস ভালো নাকি কাস্টম কোডিং ?

সত্যি কথা এটা একটা কঠিন প্রশ্ন বাট অনেস্টলি আপনাকে অ্যানসার দেই তাহলে ব্যাপারটা হবে এরকম ওয়ার্ডপ্রেস মূলত ব্যবহার করা হয় ছোটখাটো বিজনেস বা কোম্পানি বা সেলফ পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট বানানোর জন্য বা এমন ওয়েবসাইট যাতে মোটামুটি সিকিউরিটি ইস্যু বা আদার্স কোন সেনসিটিভ ম্যাটার করতে হয় না | আর ওয়ার্ডপ্রেস মূলত বানানো হয়েছে আর একটা জিনিস মাথায় রেখে যাতে যদি কেউ ছোটখাটো ওয়েবসাইট বা পোর্টফোলিও বা ছোট একটা বিজনেস দার করানোর জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয় তখন যেন সে নিজের ওয়েবসাইট নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারে কোন কোডিংয়ের ঝামেলা যেন পড়তে না হয় | কাস্টম কোডিং এর ডিমান্ড কখনো কম হবে না যাই হয়ে যাক কারণ কাস্টম কোডিং আসলে একটা ওয়েবসাইটকে যে পরিমাণ কাস্টমাইজেশন করতে আপনাকে সুবিধা দেবে ওয়ার্ডপ্রেস তেমন দিবে না |

এছাড়া অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক বা ফিনান্সিয়াল ডিপার্টমেন্ট বা বড় কোনো প্রতিষ্ঠান যাদের থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন বা ডিপেন্ডেন্সি বেশি থাকলে অনেক রিস্ক তাদের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা হয় না, তারা কাস্টম কোডিংয়ে যাবে এবং কাস্টম কোডিংয়ে অনেক ভালো পেমেন্ট করা হয় যেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানানো অনেক সহজ তাই ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব সাইটে পেমেন্ট টাও সামান্য কম | কিন্তু বললাম যে ওয়ার্ডপ্রেস easy এই জন্যই আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন তাহলে আপনি কিছু theme সামান্য কিছু কাস্টমাইজেশন করে মোটামুটি টাকা কামাতে পারবেন |

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস নাকি কাস্টম coding কোনটা ভালো ?

অনেস্ট আনসার হচ্ছে যে আপনি দুটোরই সঠিক ডিমান্ড পাবেন কিন্তু কাস্টম কোডিং এর ব্যাপারটা হচ্ছে ওদের পেমেন্ট একটু বেশি আর যেহেতু অনেক মাল্টিপল টেকনোলজিস্ট ব্যবহার করা হয় তাই custom ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে সাথে সাথে টাকা কামাতে পারবেন না কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসের ডেভেলপমেন্ট শিখতে কম সময় লাগবে, দ্রুত মার্কেটপ্লেসে ঢুকতে পারবেন |

আমি ওয়ার্ডপ্রেস শেখার স্টেপ বাই স্টেপ টিউটোরিয়াল ইন ফিউচার আমার চ্যানেলে নিয়ে আসব বাট আমি আপনাকে এখনই গাইডলাইন দিয়ে দিতে পারবো :

1. Getting Started with WordPress Basics: ওয়ার্ডপ্রেসের বেসিক কি ফিচারগুলো চিনুন কিভাবে লোকাল ডেভেলপমেন্টে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হয় তা দেখুন

2. Exploring the Dashboard: এডমিন Dashboard এর সাথে পরিচিত লাভ করুন | প্রতিটি ফাংশন সম্পর্কে জানান সেগুলো কিভাবে কাজ করে তা বুঝার চেষ্টা করুন |

3: Themes and Templates: ওয়ার্ডপ্রেসের অনেকগুলো থিম এবং টেমপ্লেট অনলাইনে ফ্রি এবং পেইড দুইভাবে পাওয়া যায় সে টেমপ্লেট গুলো কিভাবে ব্যবহার এবং কাস্টমাইজেশন করতে হয় তা শিখুন

4. Plugins and Functionality: ওয়ার্ডপ্রেস এ কিভাবে প্লাগিন এড করতে হয় সেটা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং রিমুভ করতে হয় সেটা সুবিধা অসুবিধা এগুলো সম্পর্কে জানুন |

5. Creating and Managing Content: ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে কিভাবে পোস্ট করতে হয় লিখতে হয় কিভাবে সেটা আরও আকর্ষণীয় করা যায় এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন |

6. Website Customization: একটা ওয়েবসাইটকে কিভাবে বারবার কাস্টমাইজেশন করে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সে ব্যাপারগুলো শেখার চেষ্টা করুন |

7. Search Engine Optimization (SEO): একটা ওয়েবসাইটে পোস্ট এবং ওয়েবসাইটকে কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করবেন সেই জিনিসটা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন |

8. Security and Performance: ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি এবং ডিপেন্ডেন্সি সাথে সাথে ওয়েবসাইটে পারফর্মেন্স কতটা ভালো হচ্ছে সে ব্যাপারগুলো চেক করুন এবং আপডেট করার চেষ্টা করুন |

9. User Management: ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ইউজাররা পার্টিসিপেট করতে পারতাছে কিনা এ ব্যাপারগুলো নিয়ে খেয়াল রাখুন এবং সেটা সমস্ত ডিভাইসে যেন সুন্দরভাবে উপস্থাপন হয় সেই ব্যাপার গুলো মনে রাখবেন |

10. Make Projects: অনেকগুলো প্রজেক্ট বানানোর চেষ্টা করুন যেগুলো দেখে মূলত অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে buyer আপনাকে কাজ দিবে | ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও তৈরি করুন এবং সেখানে আপনার প্রজেক্টগুলো সহ আপনার নিজস্ব ইনফরমেশন গুলো সাজিয়ে রাখুন |

ইউটিউব এ অনেক ভিডিও আছে যারা প্রথম থেকে একবার শেষ পর্যন্ত একটা ওয়েবসাইট বানায় সেটা অনলাইনে হোস্টিং করা পর্যন্ত সমস্ত জিনিস কভার করে এই ভিডিওগুলো আপনারা দেখে সাথে সাথে প্র্যাকটিসও করতে পারেন তাহলে আপনারা অনেক ভালো ধারণা পাবেন |

যারা প্রথম দিকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় ঢুকতে চান তাদের জন্য আমি ওয়ার্ডপ্রেসের সবসময় সাজেস্ট করি বাট এটা একটা খারাপ দিক হচ্ছে এরকম যে এখন মার্কেটপ্লেসে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার অনেক সাথে প্রতিযোগিতা করে আপনাদের টিকতে হবে

এছাড়া যদি আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থাকে আপনার কমেন্ট করতে পারেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না | আমি ইউটিউব চ্যানেলে আরো অনেকগুলো জিনিস আনতে যাচ্ছি

Naem Azam Chowdhury

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)